কোন Display যুক্ত ফোন আপনার জন্য ভালো এবং কোন Display এর কি বিশেষত্ব? না জানলে পরে ঠকে যাবেন।

 


আমি Rex ! আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে অন্য একটি পোষ্টে, আজকের পোস্ট শুরু করা যাক !

স্মার্টফোনের ব্যবহার আজকালকার করে না এরকম লোক কম‌ই রয়েছে। আমরা অনেকেই স্মার্টফোন ব্যবহার করছি। কিন্তু যখন আমরা নতুন কোনো স্মার্টফোন কিনি তখন আমরা বেশ কিছু ফিচার দেখি। যেমনঃ মোবাইলে RAM কতো ? ইন্টারনাল স্টোরেজ কতো ? এটার প্রসেসর কি ? ক্যামেরা কত মেগাপিক্সেল? ব্যাটারী ব্যাক‌আপ কতো খানি ইত্যাদি।



কিন্তু অনেকেই মোবাইলের স্ক্রীন ভালো করে দেখে না। ডিসপ্লে কোয়ালিটি দেখে না। যে মোবাইলে কোন টাইপের ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে। তো আজকের পোস্টে আমি মোবাইলের কিছু আলাদা আলাদা ডিসপ্লে নিয়ে কথা বলবো।

No 1 – IPS LCD Display

এর পুরো নাম হলো: in-plane switchin

এই ধরনের ডিসপ্লে বেশ পপুলার এবং বেশিরভাগ স্মার্টফোনে এই ধরনের ডিসপ্লে দেওয়া হয়। এটা একারণেই যে এই ধরনের ডিসপ্লে তে আপনি ভালো কালার পাবেন, অ্যাকুরেট পিকচার কোয়ালিটি পাবেন, অ্যাংগেল ভিউ সহ আরো কিছু সুবিধা। যদি আপনি এই ধরনের ডিসপ্লে তে কোনো ফটো বা ভিডিও দেখেন অন্য সাইট থেকে ওপর-নিচ-ডান-বাম করে তাহলেও আপনাকে অ্যাকুরেট সেই কালার‌ই দেখাবে যেটা ঐ ফটো বা ভিডিওর আসল কালার।

Advantages & Disadvantages IPS LCD Display



• বেস্ট পিকচার কোয়ালিটি
• বেটার ডিসপ্লে
• স্ক্রীন দাবালে বা চেপে ধরলে রং ছড়িয়ে পড়ে না
• ব্যাটারি কম খরচ করে
• IPS LCD ডিসপ্লে দামী হয়
• IPS ডিসপ্লে একটু মোটা হয়
• অ্যাংগেল ভিউ ভালো হয়

No 2 – TFT Display

এর পুরো নাম হলো: thin-film transistor

এই ডিসপ্লে খুব কমন এবং পুরাতন সময়ের প্রায় সব স্মার্টফোনে এই ডিসপ্লে ব্যবহৃত হতো। এটা এই কারণেই যে এই ধরনের ডিসপ্লে খুব সস্তায় হয়, এখনকার সময়ের ডিসপ্লে গুলোর মধ্যে। এখনকার সময়ে যতগুলো কমদামী স্মার্টফোন পাবেন ৪-৫ হাজার টাকার মধ্যে এসবে বেশিরভাগ TFT Display ব্যবহার করা হয়।

এই ধরনের ডিসপ্লে তে যে পিক্সেল থাকে সেগুলো তে ইলেকরোড (Elecrode) ব্যবহার করা হয়। যার কারণে না তো আপনি ভালো পিকচার কোয়ালিটি পাবেন আর না তো আপনি ভালো আউটপুট যার কারণে আপনি ভালো কালারে ফটো এবং ভিডিও দেখতে পাবেন না।


Advantages & Disadvantages TFT LCD Display


• সস্তা ডিসপ্লে কিন্তু ভালো
• ডিসপ্লে সহজে ভেঙে যায়
• কালার ভালো না
• TFT ডিসপ্লে ব্যাটারি বেশি খরচ করে
• কম দামী স্মার্টফোনে ব্যবহৃত হয়

No 3 – Retina Display

এই ধরনের ডিসপ্লে বেশিরভাগ iPhone, iPad এ ব্যবহার করা হয়। আর এটার বিশেষত্ব হলো এই ধরনের ডিসপ্লে থেকে যে আলো বের সেটা আপনার চোখের বেশি ক্ষতি করে না, অন্যান্য ডিসপ্লের তুলনায়। আপনি হয়তো খেয়াল করেছেন যে অনেক সময় যখন আমার কোনো ভিডিও দেখি, গেম খেলি, ইত্যাদি সময়ে বিশেষ করে রাতে তখন তা থেকে বের হ‌ওয়া আলো চোখে বাঁধে।

কিন্তু Retina Display তে এরকম টা হয় না। এর থেকে বের হ‌ওয়া আলো চোখে খুব‌ই কম পড়ে।


Advantages & Disadvantages Retina Display



 বেটার পিক্সেল ডেস্টিনি
• বেস্ট কালার
• চোখে আলো বেশি লাগে না
• Retina ডিসপ্লে দামী হয়

NO 4 – OLED Display

এর পুরো নাম হলো: Organic light-emitting diodes

এই ধরনের ডিসপ্লের বিশেষত্ব হলো: এতে আপনি High Brightness, Better Color, Better View Angle পাবেন। এছাড়াও মোবাইলে ব্যবহৃত এই ধরনের ডিসপ্লে খুব কম ব্যাটারি খরচ করে। যাতে আপনার ফোনের ব্যাটারি পারফরমেন্স ইম্প্রুভড হয়।

Advantages & Disadvantages OLED Display



• LCD ডিসপ্লের থেকে ভালো
• বেটার রেসপন্স টাইম
• ব্যাটারি কম খরচ করে
• দামী ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেস
• পানি দ্বারা সহজেই নষ্ট হয়ে যায়

NO 5 – Amoled & Super Amoled Display

Amoled Display হলো OLED Display এর Advanced Version আর এই ধরনের ডিসপ্লের বিশেষত্ব হলো: এতে যে Pixel থাকে তা একটা আরেকটার সাথে জুড়ে থাকে। যার কারণে Rich Color, Sharp Image, Better View Angle এর সাথে ব্যাটারি কানজিউমশান খুব কম। যার ফলে ফোনের ব্যাটারি অনেক ইম্প্রুভড হয় এবং বেশিক্ষণ চার্জ থাকে।

এই ধরনের ডিসপ্লে মানে Amoled Display কে TFT Display, OLED Display, LCD Display এর থেকে উন্নত বেশ বলা হয়।

Super Amoled Display হলো Amoled Display এর Advanced Version এটাতে আপনি Better Picture Quality, Sharp Image আর Rich Color এর সাথে পাওয়ার কানজিউমশান অনেক কম পাবেন। Super Amoled Display তে আপনি রোদের আলোতেও সহজেই স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন, Amoled Display এর তুলনায়।

আপনি হয়তো দেখেছেন যে iphone 10 বেশ পপুলার কারণ iphone 10 এ Basically Super Amoled Display ব্যবহার করা হয়। তো এই ধরনের ডিসপ্লে খুব দামী হয় অন্যান্য ডিসপ্লের তুলনায়।

Amoled & Super Amoled Display


• ব্যাটারি কম খরচ করে
• চিকন ডিসপ্লে, রিচ কালার, শার্প ইমেজ
• বেটার কনট্রাস্ট এবং রেসপন্স টাইম
• পানি দ্বারা সহজেই নষ্ট হয়ে যায়

তো এই ছিলো আলাদা আলাদা কিছু ডিসপ্লের মধ্যে তফাৎ, আশা করি এখন আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আপনার জন্য কোন ধরনের ডিসপ্লে ভালো হবে।


এই পোষ্ট এতটুকুই ! এতক্ষণ সময় নিয়ে পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবাই, আল্লাহ হাফেজ। 🙂




0 Comment "কোন Display যুক্ত ফোন আপনার জন্য ভালো এবং কোন Display এর কি বিশেষত্ব? না জানলে পরে ঠকে যাবেন।"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন